ই-কমার্স বিজনেস এর ডিজিটাল মার্কেটিং কেমন হওয়া উচিত?
গত ৫ বছরে ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজ করার সুবাদে একটা জিনিস বুঝতে পারলাম যে, একজন উদ্যোক্তা বা ই-কমার্স ব্যবসায়ী তার পন্যের কিভাবে সেলস ফানেল তৈরি করে কোল্ড অডিয়েন্সকে ওয়ার্ম করে হট অডিয়েন্সে রুপান্তর করে Remarketing এর মাধ্যমে সেলস আনতে হয়, সেটাই বুঝেনা।
প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিছনে লুকিয়ে থাকে অনেক স্বপ্ন এবং পরিশ্রমের গল্প। কিন্তু সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং দক্ষ প্রচারণার অভাবে সেই স্বপ্ন পূর্ণতা পায়না।
একজন উদ্যোক্তার বা ই-কমার্স ব্যবসায়ীর মার্কেটিং শুরু করার আগেই তার ডেটা ড্রিভেন ডিজিটাল মার্কেটিং কেমন হওয়া উচিত, সেটার প্রপার মার্কেটিং স্ট্রেটেজি অবশ্যই সেট করে নিতে হবে, তা না হয় শুধু শুধু ফেসবুক এড দিবেন আর ডলার খরচ করবেন কোন ইউজার ডেটা খুঁজেই পাবেন না। আর ডেটা ছাড়া মার্কেটিং করা মানে অন্ধকারে ঢিল ছোড়া।
ব্যবসায়ীকে, মার্কেটিং শুরু করার আগে অবশ্যই যত অ্যানালিটিক্স আছে তা সেটআপ করে নিতে হবে, যেমন Pixel এবং Event সেট আপ - এটার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে কে ভিজিট করলো, কে কোন প্রোডাক্ট দেখলো আবার কোন প্রোডাক্টগুলো এড টু কাট করলো, কোনটা চেক আউট করলো ফাইনালি কোনটা পারচেজ করলো। এর মাধ্যমে পরবর্তীতে আপনার রি-মার্কেটিং করতে সুবিধা হবে যেমন: শুধুমাত্র যারা আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করলো এবং প্রোডাক্ট কিনলো তাদের কাছে এড দেখাতে পারবেন, এতে এড খরচ অনেক কমে যাবে এবং প্রপার অডিয়েন্স এর কাছেও যেতে পারবেন।
এই যে যারা আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করল তারা কোন দেশ বা শহর থেকে ভিজিট করল, তাদের বয়স কত, তারা পুরুষ না নারী, তারা কোন ডিভাইস বা ব্রাউজার দিয়ে ঢুকলো এসব কিছু দেখতে পারবেন Google Analytics 4 এ। এখন যদি আপনার ফেসবুকে এড দেওয়ার আগে গুগল এনালিটিক্স সেট না থাকে কিভাবে এই ডেটাগুলো পাবেন! বলেন?
ডেটাড্রিবেন মার্কেটিংয়ের জন্য, ওয়েবসাইটের সকল ডেটা এনালাইসিস করার জন্য দরকার Looker Studio. এক ড্যাশবোর্ডে ইউজারের সব ডেটা পাবেন।
আরো যদি এডভান্স লেভেলের মার্কেটিং করতে চান তাহলে দরকার Microsoft Clarity। এতে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর কোন প্রোডাক্ট দেখলো আর কোন প্রোডাক্ট পারচেজ করার চেষ্টা করলো তার লাইভ রেকর্ডিং দেখতে পারবেন।
এখন নিচের ভিডিওটি একটু দেখুন
আরো ভালকরে বুজতে পারবেন প্রপার
Marketing Strategy
Our Services
নিচের প্রতিটি ANALYTICS সেট করার পর – প্রাপ্ত ডেটা কীভাবে ANALYSIS করে, বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করতে হবে, তা আমাদের সাপোর্ট টিম মিটিংয়ের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিবে।
Youtube & Facebook Ads
Facebook Ads এর সকল যেমন: Awareness, Message, Traffic, Lead Generation এবং Sales Camping চালাতে পারবেন। Website Visitor, 3’s Video Viewer, Page Visitor, Messenger এ যারা মেসেজ করেছে এমন সব ধরনের Audience কে Target করে Remarketing এর মাধ্যমে বারবার Ad দেখাতে পারবেন। YouTube এর Brand Awareness এবং Skipable, Non Skipable Ad চালাতে পারবেন।
Youtube & Facebook Ads
Facebook Ads এর সকল যেমন: Awareness, Message, Traffic, Lead Generation এবং Sales Camping চালাতে পারবেন। Website Visitor, 3’s Video Viewer, Page Visitor, Messenger এ যারা মেসেজ করেছে এমন সব ধরনের Audience কে Target করে Remarketing এর মাধ্যমে বারবার Ad দেখাতে পারবেন। YouTube এর Brand Awareness এবং Skipable, Non Skipable Ad চালাতে পারবেন।
Meta Pixel & Conversion API এটি আপনার ওয়েবসাইটে কাস্টমার আসার সাথে সাথে তাকে ট্যাক করে ফেলবে, সে আপনার ওয়েবসাইটে কি কি Behavior করতেছে। যেমনঃ কোন পোডাক্টটি সে View করতেছে, কোন পোডাক্টটি Add To Cart করতেছে, কোন পোডাক্টটি Checkout করতেছে এবং কোন পোডাক্টটি সে Purchase করতেছে। ওয়েবসাইটের Datalayer থেকে User এর সকল ডেটা Pixel & Conversion API ডেটা ট্যাক করে ফেলবে।
Meta Pixel & Conversion API এটি আপনার ওয়েবসাইটে কাস্টমার আসার সাথে সাথে তাকে ট্যাক করে ফেলবে, সে আপনার ওয়েবসাইটে কি কি Behavior করতেছে। যেমনঃ কোন পোডাক্টটি সে View করতেছে, কোন পোডাক্টটি Add To Cart করতেছে, কোন পোডাক্টটি Checkout করতেছে এবং কোন পোডাক্টটি সে Purchase করতেছে। ওয়েবসাইটের Datalayer থেকে User এর সকল ডেটা Pixel & Conversion API অটোমেটিক্যালি ট্র্যাক করে ফেলবে।
Google Analytics 4 এর মাধ্যমে এই যে, Pixel আর Conversion API এর মাধ্যমে ডাটা ট্র্যাক করার পর ওই ডাটা বিশ্লেষণ করে Facebook Ad দিতে পারবেন। ওয়েবসাইটে Live কতজন User আছে-ওই ইউজাররা কোন City বা Country থেকে আপনার Website এ ঢুকেছে, কোন ডিভাইস বা ব্রাউজার দিয়ে Website এ এসেছে, তাদের Age কত, তারা Male নাকি Female সকল ডাটা পাবেন। রিয়েলটাইম ইউজার অ্যাক্টিভিটি দেখা যায়। ইউজার ডেটা সংরক্ষণ, IP অ্যানোনিমাইজেশন ইত্যাদি আরও উন্নতভাবে কনফিগার করা যায়। GA4-এ সবকিছুই “ইভেন্ট” আকারে ট্র্যাক হয় (পেজ ভিউ, স্ক্রল, ক্লিক, ভিডিও প্লে ইত্যাদি)।
Google Analytics 4 এর মাধ্যমে এই যে, Pixel অথবা Conversion API এর মাধ্যমে ডেটা ট্র্যাক করার পর ওই ডাটা বিশ্লেষণ করে Facebook Ad দিতে পারবেন। ওয়েবসাইটে Live কতজন User আছে-ওই ইউজাররা কোন City বা Country থেকে আপনার Website এ ঢুকেছে, কোন ডিভাইস বা ব্রাউজার দিয়ে Website এ এসেছে, তাদের Age কত, তারা Male নাকি Female সকল ডাটা পাবেন। রিয়েলটাইম ইউজার অ্যাক্টিভিটি দেখা যায়। GA4-এ সবকিছুই “ইভেন্ট” আকারে ট্র্যাক হয় (পেজ ভিউ, স্ক্রল, ক্লিক, ভিডিও প্লে ইত্যাদি)।
Microsoft Clarity – এটা হলো একটা এডভান্স লেভেলের ট্র্যাকিং, আপনার ওয়েবসাইটের সবকিছু লাইভ দেখতে পারবেন: যেমন, ভিজিটর কোন প্রোডাক্টটা দেখলো, কোন প্রোডাক্টটা Add To Cart করলো, Website এর কয়টা Page এ গেলো, কোন Page এর কোন পর্যন্ত গেলো, কোন Article টা পড়লো, মানে যাবতীয় সব কিছুর Recording আপনি Live দেখতে পারবেন খুব সহজে। ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স (লোড টাইম, জাভাস্ক্রিপ্ট এরর ইত্যাদি) ট্র্যাক করা যায়। ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স (লোড টাইম, জাভাস্ক্রিপ্ট এরর ইত্যাদি) ট্র্যাক করা যায়। Clarity ব্যবহারে কোনো প্রকার খরচ নেই, কোনো ট্রায়াল বা সাবস্ক্রিপশন দরকার হয় না
Microsoft Clarity – এটা হলো একটা এডভান্স লেভেলের ট্র্যাকিং, আপনার ওয়েবসাইটের সবকিছু লাইভ দেখতে পারবেন: যেমন, ভিজিটর কোন প্রোডাক্টটা দেখলো, কোন প্রোডাক্টটা Add To Cart করলো, Website এর কয়টা Page এ গেলো, কোন Page এর কোন পর্যন্ত গেলো, কোন Article টা পড়লো, মানে যাবতীয় সব কিছুর Recording আপনি Live দেখতে পারবেন। খুব সহজে। Clarity ব্যবহারে কোনো প্রকার খরচ নেই, কোনো ট্রায়াল বা সাবস্ক্রিপশন দরকার হয় না
আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স (কোন কোন কীওয়ার্ডে ওয়েবসাইট র্যাংক করছে, কতগুলো ক্লিক, ইমপ্রেশন, Click-Through Rate দেখা যায়), ইনডেক্সিং স্ট্যাটাস (কোন কোন পেজ Google-এ ইনডেক্স হয়েছে এবং কোনগুলো হয়নি), Schema Markup বা Structured Data ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা জানা যায় (যেমন: FAQ, Breadcrumb, Product ইত্যাদি) আরও সার্চ ট্রাফিক পর্যবেক্ষণ করতে Google Search Console এর প্রয়োজন। ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে কিনা, কিংবা ম্যালওয়্যার ইনজেক্ট হয়েছে কিনা তাও জানা যায়
আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স (কোন কোন কীওয়ার্ডে ওয়েবসাইট র্যাংক করছে, কতগুলো ক্লিক, ইমপ্রেশন, Click-Through Rate দেখা যায়), ইনডেক্সিং স্ট্যাটাস (কোন কোন পেজ Google-এ ইনডেক্স হয়েছে এবং কোনগুলো হয়নি), Schema Markup বা Structured Data ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা জানা যায় (যেমন: FAQ, Breadcrumb, Product ইত্যাদি) আরও সার্চ ট্রাফিক পর্যবেক্ষণ করতে Google Search Console এর প্রয়োজন। ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে কিনা, কিংবা ম্যালওয়্যার ইনজেক্ট হয়েছে কিনা তাও জানা যায়
Google Tag Manager এর মাধ্যমে এক প্লাটফর্মে সকল Tracking করা যায়। ইভেন্ট ট্র্যাকিং যেমন: Product View, Add To Cart, Checkout, Purchase, যেকোনো বাটন ক্লিক, স্ক্রল ডেপথ, ভিডিও প্লে, ফর্ম সাবমিশনের মতো ইভেন্টগুলো সহজেই ট্র্যাক করা যায়। Google Analytics, Google Ads, Facebook Pixel, Hotjar, LinkedIn Insight Tag সহ শতাধিক থার্ড-পার্টি ট্যাগ একজায়গায় রাখা যায়। ওয়েবসাইট কোড পরিবর্তন না করেই বিভিন্ন মার্কেটিং এবং অ্যানালিটিক্স টুলের ট্র্যাকিং কোড (tags) যুক্ত ও ম্যানেজ করা যায় এতে ওয়েবসাইট লোডে কোন সমস্যা হয় না।
Google Tag Manager এর মাধ্যমে এক প্লাটফর্মে সকল ট্র্যাকিং করা যায়। ইভেন্ট ট্র্যাকিং যেমন: Product View, Add To Cart, Checkout, Purchase, যেকোনো বাটন ক্লিক, স্ক্রল ডেপথ, ভিডিও প্লে, ফর্ম সাবমিশনের মতো ইভেন্টগুলো সহজেই ট্র্যাক করা যায়। Google Analytics, Google Ads, Facebook Pixel, Hotjar, LinkedIn Insight Tag সহ শতাধিক থার্ড-পার্টি ট্যাগ একজায়গায় রাখা যায়। ওয়েবসাইট কোড পরিবর্তন না করেই বিভিন্ন মার্কেটিং এবং অ্যানালিটিক্স টুলের ট্র্যাকিং কোড (tags) যুক্ত ও ম্যানেজ করা যায় এতে ওয়েবসাইট লোডে কোন সমস্যা হয় না।
Looker Studio এমন একটা টুলস যেখানে – Pixel, CAPI, GA4, Microsoft Clarity থেকে পাওয়া সকল ডাটা এক Deshboard এ, অনেক Organized ওয়েতে দেখতে পারবেন। Google Analytics কে কানেক্ট করে Google Analytics এর সকল ডেটা এবং Google Ads কেও কানেক্ট করে এক Deshboard এ সকল ডেটা বিশ্লেষণ করে Facebook Ad/Youtube Ad দিতে পারবেন। Google Sheets, Google Analytics, BigQuery, MySQL, Facebook Ads, YouTube Analytics ইত্যাদিসহ 800+ ডেটা সোর্সের সাথে কানেক্ট করা যায়।
Looker Studio এমন একটা টুলস যেখানে – Pixel, CAPI, GA4, Microsoft Clarity থেকে পাওয়া সকল ডাটা এক Deshboard এ, অনেক Organized ওয়েতে দেখতে পারবেন। Google Analytics কে কানেক্ট করে Google Analytics এর সকল ডেটা এবং Google Ads কেও কানেক্ট করে এক Deshboard এ সকল ডেটা বিশ্লেষণ করে Facebook Ad/Youtube Ad দিতে পারবেন। Google Sheets, Google Analytics, BigQuery, MySQL, Facebook Ads, YouTube Analytics ইত্যাদিসহ 800+ ডেটা সোর্সের সাথে কানেক্ট করা যায়।
SEO করলে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে অর্গানিক (ফ্রি) ভিজিটর পাওয়া যায়। এটি বিজ্ঞাপন ব্যয় কমায়। গুগলে প্রথম পেজে থাকলে মানুষ বিশ্বাস করে ওয়েবসাইটটি ভালো এবং নির্ভরযোগ্য। একবার ভালোভাবে SEO করলে তার ফল অনেকদিন পর্যন্ত পাওয়া যায়, যেখানে পেইড মার্কেটিং বন্ধ করলেই সাথে সাথে তার ফলাফল বন্ধ হয়ে যায়। SEO-তে খরচ তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু ফলাফল অনেক বেশি সময় পর্যন্ত থাকে – তাই এটি এক ধরণের লং-টার্ম ইনভেস্টমেন্ট। আপনার ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টে একবার চলে আসলে সেটি ২৪ ঘণ্টা ভিজিটর আনে।
SEO করলে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে অর্গানিক (ফ্রি) ভিজিটর পাওয়া যায়। এটি বিজ্ঞাপন ব্যয় কমায়। গুগলে প্রথম পেজে থাকলে মানুষ বিশ্বাস করে ওয়েবসাইটটি ভালো এবং নির্ভরযোগ্য। কবার ভালোভাবে SEO করলে তার ফল অনেকদিন পর্যন্ত পাওয়া যায়, যখন পেইড মার্কেটিং বন্ধ করলে সাথে সাথেই ফল বন্ধ হয়ে যায়। SEO-তে খরচ তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু ফলাফল অনেক বেশি সময় পর্যন্ত থাকে – তাই এটি এক ধরণের লং-টার্ম ইনভেস্টমেন্ট। যদি আপনার সাইট ভালোভাবে অপ্টিমাইজড হয়, তাহলে আপনি একই ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারবেন।